জন্ম সূত্রে আমি একজন বাংলাদেশি, বর্তমান আবাস্থল গ্রেট
ব্রিটেনের বারমিংহাম সিটি। পেশায় Software
Engineer . আমি খুব ভাল বা Journalist গনের মত লিখতে পারিনা। তাই আমার লেখায় কোন ভুল হলে আগেই
ক্ষমা চাইছি।
আমি সত্যিকার জানিনা বাংলাদেশের অবস্থা এখন কেমন। কিন্তু
শেষ কিছুদিন ধরে সংবাদ মাধ্যমে যা দেখছি আমি হতবাগ, আমার মনে এখন একটি প্রশ্ন
জাগে। আমরা কি স্বাধীন? আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি আজ ৪১ বছর। আজো আমরা ব্যাস্ত
যুদ্ধ অপরাধিদের বিচারে। আমাকে সবচাইতে বেশী অবাক করেছে গনজাগরণ মঞ্চ। কারণ, আমি
স্বপ্ন দেখতাম আমার পূর্ব পুরুষেরা দেশের জন্য কিছু করতে পারেনি; সম্ভবত আমাদের
জেনারেশন কিছু পারবে। কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চ সেই স্বপ্নকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিল।
কারন আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের চাইতেও বেশী নির্বোধ। কারন আজকের এই তরুণ সমাজ
বাতাসের সাথে নাচতে জানে, ঝড়ের বিরুদ্ধে লড়তে জানেনা, সত্যিও বলতে জানেনা। আপনারা
হয়তো ভাবছেন আমি যুদ্ধ-অপরাধীদের বিচার চাইনা। ধারণাটা ভূল। একজন বাঙ্গালী হিসেবে
আমিও চাই সকল অপরাধের বিচার হোক, কিন্তু ন্যায় বিচার। প্রশ্ন হচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চে
আসা মানুষ কি সত্যিই দেশের প্রেমে শাহাবাগ গিয়েছিলো নাকি কোন কারন এর পিছনে ছিল? গণজাগরণ মঞ্চে আসা মানুষ সত্যিই যদি রাজাকারদের
ফাঁসি চায় তাহলে তো তাদের আন্দোলন হওয়া উচিত, কিভাবে একজন রাজাকার (মহিউদ্দিন খান
আলামগীর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকে? কারন কি তিনি আওমীলীগ করেন?
রাজাকার হওয়ার পরও কেন প্রধান মন্ত্রীর ব্যাইকে গ্রেফতের করা হচ্ছে না। কারন কি
তিনি শেখ হাসিনার আত্মীয়। এই যদি হয় তাহলে তো গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন হওয়া উচিত সকল
যুদ্ধ অপরাধীকে গ্রেফতের করা হোক। কোন যুদ্ধ-অপরাধী বাংলাদেশের মন্ত্রী-পরিষদ এ
থাকতে পারবে না। আর ডঃ ইমরান তাহের যদি এটা করতে না পারেণ, তাহলে বাংলার জনগণ
আপনাকে একজন আওামী দালাল হিসেবেই দেখবে, তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। জনগণ বুঝে নেবে
আপনার আন্দোলন শুধু একটি দলের বিরুদ্ধে, কোন দেশ প্রেম আপনার মধ্যে ছিল না। আজ যেই
জনগণ আপনাকে মহান একটি আসনে বসিয়েছে তারাই একদিন আপনার নাম শুনতে ধোঁকাবাজ বলে
গালি দেবে, সুতরাং এখনো সময় আছে আপনার আন্দলনের লক্ষ্য ঠিক করুন।
Pirates of Bangle
No comments:
Post a Comment